আনসার-ভিডিপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী

আনসার-ভিডিপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাহিনীর মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেওয়া হয়।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের পথে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। সে জন্য আপনাদের সবাইকেই প্রচেষ্টা নিতে হবে। সবাই সেই প্রচেষ্টা নেবেন এবং সেটাই আমি আশা করি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘৪২তম জাতীয় সমাবেশ-২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের সফীপুরে আনসার-ভিডিপি একাডেমির মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, প্রবৃদ্ধি বেড়েছে এবং অর্থনীতিও যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি আপনাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। কাজেই সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন সেটাই আমি আশা করি। ’

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ব্রডব্যান্ড প্রতি ইউনিয়নে পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, ‘মহাকাশে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ আমরা উৎক্ষেপণ করেছি, অনলাইনে সমস্ত কাজকর্ম হচ্ছে। ভূমির পর্চা থেকে শুরু করে সব কিছুই এখন ডিজিটাইজড হচ্ছে। করোনার মধ্যে আর্থিক প্রণোদনাও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরাসরি প্রাপকের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। সেভাবেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ’

মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। তাদের জন্য জমি দিচ্ছি, ঘর করে দিচ্ছি। পাশাপাশি প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালানোর যে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সে অনুযায়ী ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম স্বাগত বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আনসার সদস্যদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। মোট ১৬২ জন আনসার সদস্য পদক লাভ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত করতে চাই। আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। আর এ ক্ষেত্রে এই বাহিনী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, মৌলবাদ দমনে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। ’

অনুষ্ঠানে আনসার একাডেমিতে নবনির্মিত ‘মুজিব প্রাঙ্গণ’, কেন্দ্রীয় মসজিদসহ আনসার সদস্যদের বিভিন্ন স্থাপনার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।