আজ ২০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এনসিপির মতো নেপালের ছাত্ররা দল করতে যায়নি, পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে: রুমিন ফারহানা

এবার নেপালের প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তবে সেখানে স্টুডেন্টরা পলিটিক্যাল পার্টি করতে যায়নি। ছাত্ররা দল না করলে অভ্যুত্থানের চেতনা নষ্ট হয়ে যাবে এমন বয়ান ওঠেনি। বরং তারা পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে। সম্প্রতি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একটি টক শোতে এসব কথা বলেন বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।

রুমিন বলেন, ‘নেপালের সঙ্গে যদি বাংলাদেশের আমরা একটা তুলনামূলক চিত্র করি নেপালের আজকের এই অসন্তোষের পেছনে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নেপালে ‘হামি নেপাল’ বলে একটা সংগঠন কিন্তু ক্রমাগত প্রচারণা চালিয়েছে। পলিটিশিয়ানদের সন্তানরা, নেপো চাইল্ড হিসেবে খ্যাত যারা, তারা কিভাবে বিলাসী জীবনযাপন করে এবং নেপালের আপামর জনসাধারণ এবং সাধারণ মানুষের সন্তানরা কিভাবে জীবনযাপন করে, তারা দেখিয়েছে।

 

এই নেপো চাইল্ডদের বিদেশে চলে যাওয়া, উন্নত শিক্ষা, বড় বড় বিজনেস কংগ্রমারেটের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ এবং অন দি আদার হ্যান্ড বিদেশে যে নেপালিরা কাজ করছে, অর্থাৎ বাংলাদেশের আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের মতো তাদের জীবন ও সাধারণ মানুষের জীবনের মধ্যে কী বিস্তর দুস্তর ফারাক! এই যে একটা বৈষম্য ঠিক বাংলাদেশের মতো, মনে হচ্ছে না একেবারে বাংলাদেশের গল্প শুনছি! এই বৈষম্যটাই নেপালকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরস্পর সংগঠিত হয়ে এইরকম একটা অভ্যুত্থানের জন্ম দিতে সাহায্য করেছে। যেখানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ঠিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতন দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’

নেপালের অভ্যুত্থান পরবর্তী দৃশ্য বাংলাদেশের মতো নয় উল্লেখ করে রুমিন বলেন, “নেপালে যখন সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নিলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি, তিনি কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে প্রথম মন্ত্রিসভা গঠনের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন। স্টুডেন্টরা পলিটিক্যাল পার্টি না করলে অভ্যুত্থানের চেতনা নষ্ট হয়ে যাবে এমন কোনো বয়ান সুশীলা কার্কি দেওয়া শুরু করলেন না।

আমরা কিন্তু দেখলাম না সুশীলা কার্কি কোনো অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, আর চারপাশ থেকে ‘পাঁচ বছর পাঁচ বছর’, ‘আপনাকে পাঁচ বছরই দেখতে চাই’ এমন কোনো ধ্বনি উঠছে। কিংবা আমরা দেখতে পেলাম না যে সুশীলা কার্কি কোনো প্রোগ্রামে যাচ্ছেন, কিন্তু তার উপদেষ্টারা পরস্পরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে যে নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমরা সুশীলা কার্কিকে দেখতে চাই। অর্থাৎ, তিনি যে একটা স্পেসিফিক দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন এবং সেই দায়িত্ব পালন করে তিনি যে আবার তার আগের অবস্থানেই ফিরে যাবেন এবং এই ব্যাপারে যে তার মধ্যে কোনোরকম দ্বিধা-দ্বন্দ-লোভ-লালসা লক্ষ্য করি নাই এবং নেপালের ছেলেরাও, মানে যারা জেনজি তারাও কিন্তু তাদের পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে। তারা একটা দল করতে বসে নাই।”

 

 

সংগৃহীত সংবাদ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category