আজ ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কুসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর হলেন যারা

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে এবার মেয়রদের পাশাপাশি কাউন্সিলর পদেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। বিজয়ী কাউন্সিলররা ফলাফল ঘোষণার পর বলেছেন, ভোটের পরিবেশ নিয়ে তারা খুশি।

বুধবার (১৫ জুন) নির্বাচন শেষে নগরীর শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে ফলাফল জানান কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কাউন্সিলর পদে জয়ী সাধারণ আসনের বিজয়ীরা হলেন-

১ নং ওয়ার্ডে কাজী গোলাম কিবরিয়া দুই হাজার ৬২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন দুই হাজার ২৪৪ ভোট। ২ নং ওয়ার্ডে গাজী গোলাম সারোয়ার এক হাজার ৩২১ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৯৬০ ভোট। ৩ নং ওয়ার্ডে সরকার মাহমুদ জাবেদ তিন হাজার ৫১৫ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন দুই হাজার ১৯০ ভোট। ৪ নং ওয়ার্ডে মো. নাসির উদ্দিন নাজিম এক হাজার ৭৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন এক হাজার ৪১৬ ভোট। ৫ নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ রায়হান।

৬ নং ওয়ার্ডে আমিনুল ইকরাম দুই হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামের নেতা মোশারফ পেয়েছেন দুই হাজার ২১২ ভোট। ৭ নং ওয়ার্ডে আবদুর রহমান দুই হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন দুই হাজার ১৪ ভোট। ৮ নং ওয়ার্ডে একরাম হোসেন বাবু দুই হাজার ১৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন এক হাজার ৮৬৭ ভোট। ৯ নং ওয়ার্ডে জমির উদ্দিন খান জম্পি এক হাজার ৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৬৪৭ ভোট। ১০ নং ওয়ার্ডে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুর কাদের মনি। ১১ নং ওয়ার্ডে হাবিবুর আল আমিন সাদি দুই হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৬০১ ভোট। ১২ নং ওয়ার্ডে কাজী জিয়াউল হক দুই হাজার ১৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন এক হাজার ৭০৩ ভোট।

এছাড়াও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাজিউর রহমান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ হাসেম, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাইফুল বিন জলিল, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে হানিফ মাহমুদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে শওকত মাহমুদ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. রেজাউল করিম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আনোয়ার হোসেন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী মাহবুবুর রহমান, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আজাদ হোসেন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আনিসুজ্জামান, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মহিবুর রহমান, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. এমদাদ উল্লাহ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আব্দুস সাত্তার ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আবুল হাসান কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন।

সংরক্ষিত মহিলা নির্বাচিতরা হলেন ১ নম্বর সংরক্ষিত আসনে কাউছারা বেগম সুমি, ২ নম্বর আসনে নাদিয়া নাসরিন, ৩ নম্বর আসনে উম্মে কুলসুম, ৪ নম্বর আসনে রুমা আক্তার, ৫ নম্বর আসনে নূর জাহান আলম পুতুল, ৬ নম্বর আসনে নেহার বেগম, ৭ নম্বর আসনে তাহমিনা আক্তার, ৮ নম্বর আসনে ফারহানা পারভিন এবং সংরক্ষিত আসন ৯ এ নির্বাচিত হয়েছেন শাহিন আক্তার।

ঘোষিত ফল অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্য তিন প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে ২৯ হাজার ৯৯, রাশেদুল ইসলাম হাতপাখায় তিন হাজার ৪০ ও কামরুল আহসান বাবুল হরিণ প্রতীকে দুই হাজার ৩২৯ ভোট পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে মোট দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ ভোটার ছিলেন। এর মধ্যে এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৪টি ভোট পড়ে। তবে বাতিল হয় ৩১৯ ভোট। ভোট পড়েছে ৫৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মোট ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর আগেই দুইজন কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় জয়লাভ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category