আজ ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহিত

সেতু বিভাগ জানাল :ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোন পথে উঠবেন–নামবেন

আগামীকাল শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে (বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের কথা রয়েছে। আর আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উভয় অংশ সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য খুলে দেবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা শিকদারের সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোন কোন পথ ধরে ওঠা-নামা করা যাবে তা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ছবি তুলতেও নিষেধ করা হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত হতে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত অংশের উভয়দিকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা (টু ও থ্রি হুইলার) এবং পথচারী চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর যে কোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। ওঠা–নামার র‍্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে নিচের পথগুলো দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামা করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহনগুলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা, প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব থেকে উঠবে। আর বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে ও ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে গিয়ে নামবে।

এ ছাড়া বিমানবন্দরের দিকে যাওয়া যানবাহনগুলো বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর এবং দক্ষিণ লেন ও বনানী রেল স্টেশনের সামনে থেকে উঠতে পারবে। আর মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে, বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের সামনে বিমানবন্দর সড়ক, কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে গিয়ে নামতে পারবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা থেকে হটানোর চক্রান্ত করছে। আজকে দেশে বিদেশে কত ষড়যন্ত্র চক্রান্তের খেলা। এই দেশের ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে বসে আছে। গত ১৫ বছরের শেখ হাসিনার কৃতিত্ব মুছে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। ’

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতু কে করেছে? বিশ্বব্যাংক করেছে? বিশ্বব্যাংক অপবাদ দিয়ে সরে গেছে। নিজস্ব অর্থায়নে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন। জ্বালা রে জ্বালা, অন্তর জ্বালা। অন্তর জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি। জ্বলছে তারেক রহমান। এই পদ্মা সেতু কী করে হলো? দুই ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ। সাড়ে তিন ঘণ্টায় খুলনা। দুই ঘণ্টায় বরিশাল। ’

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল কয়েক দিন পরেই যাবে মতিঝিলে। কে করেছে? শেখ হাসিনা। এটাই তাদের জ্বালা। শেখ হাসিনার অর্জনে মানুষ কেন খুশি, তাই বিএনপির অন্তর জ্বালা। তারা বিষ জ্বালায় মরছে। এই দেশে কি সারা বাংলায় বিদ্যুৎ ছিল? বিদ্যুৎ দিয়েছে শেখ হাসিনা সারা দেশে। ’

আজ শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতির জনক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্মরণে ছাত্রসমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category