আজ ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ছবিঃ সংগৃহিত

অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন

জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত সাড়ে আটশ’ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন। আগামী ১৮ মার্চ থেকে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওইসব পরিবারের সদস্যদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হবে।

রবিবার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম হলে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার।ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে শহীদ এবং আহত সাড়ে আটশ’ পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘চলছে পবিত্র রমজান। আর কয়েকদিন পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আমরা যারা সুস্থ আছি, ভালো আছি, তারা হয়তো আনন্দমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করবো। কিন্তু জুলাই বিপ্লবে আমরা যাদের চিরদিনের জন্য হারিয়েছি, তারা কেউ আমার ভাই কেউ আমার সন্তান। সেই ভাইহারা এবং সন্তানহারা স্বজনদের পাশে দাঁড়াতে চায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন। ভাগাভাগি করে নিতে চায়, তাদের আনন্দ-বেদনা। সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আমরা পৌঁছে যেতে চাই প্রতিটি শহীদ পরিবারের কাছে।’

তিনি বলেন, ‘ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নির্দেশনায় শহীদ পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের কাছে পৌঁছে যাবে আমাদের সদস্যরা। দুর্যোগ-সংকটে, বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে যে সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রাখতে এই উদ্যোগ। আগামী ১৮ মার্চ থেকে শুরু হবে আমাদের কার্যত্রম।’

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমাদের চিকিৎসকরা ইতোমধ্যেই আহতদের সু-চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়েছেন এবং সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে এই যোদ্ধাদের যেকোনও প্রয়োজনে পাশে থাকবে ফাউন্ডেশনের চিকিৎসকরা।’

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যা, খরাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে সময় এই প্রতিষ্ঠান দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনেও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্যরা যেকোনও বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াবে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ আয়োজনের সদস্য সচিব ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন, পরিচালক প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, ডা. শাহ মো. আমান উল্লাহসহ ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সংবাদঃ সংগৃহিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category