ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে ৫ জাতিসংঘ কর্মী অপহরণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন ইয়েমেনের নাগরিক। বাকি একজন বাংলাদেশি।তার নাম একেএম সুফিউল আনাম।
তিনি ইয়েমেনের অ্যাডেনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিভাগের ফিল্ড সিকিউরিটি কোঅর্ডিনেশন অফিসার (হেড) হিসেবে কর্মরত।
সুফিউল আনামের অপহরণের বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়াও, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তিনি জানান, সুফিউল আনাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ১৯৭৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন তিনি। অবসর নেওয়ার পর তিনি জাতিসংঘে কাজ করছেন।
সুফিউল আনামের পরিবারের একজন জানান, এই খবরে পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না কেন তাকে অপহরণ করা হলো। আমরা শুধু দোয়া করছি যাতে তিনি নিরাপদে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।’
এর আগে, গত শনিবার ইয়েমেনে নিয়োজিত জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তার মুখপাত্র রাসেল গিকির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স জানায়, আবিয়ান প্রদেশে ওই ৫ কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে।
‘তাদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ইয়েমেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখেছে জাতিসংঘ,’ বলেন গিকি।
গত শনিবার ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের মন্ত্রীসভার বরাতে দেশটির সরকারি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, জাতিসংঘের অপহৃত কর্মীদের মুক্ত করার জন্য কাজ করছে সরকার।
অ্যাডেনে অবস্থিত জাতিসংঘ কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, অপহৃতদের মধ্যে ৪ জনই ইয়েমেনের নাগরিক।
২০১৪ সালের শেষে রাজধানী সানা থেকে হুতি বিদ্রোহীরা ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই ইয়েমেনে সহিংসতা বিরাজ করছে। পরবর্তীতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব সামরিক জোট ক্ষমতাচ্যুত সরকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য হুতিদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলা শুরু করে।
এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবতা সংকট। দেশটির জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই বর্তমানে বিদেশি ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল।
Leave a Reply