ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরে অস্থির হয়ে উঠেছে বিশ্ববাজার, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে বাড়ছে খাদ্যপণ্যের দাম। শেয়ারবাজারের সূচকের পতনও থামছেই না। রাশিয়া-পশ্চিমা দ্বন্দ্বে বৈশ্বিক অর্থনীতির মারাত্মক প্রভাব নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ। বিশ্লেষকরা বলছেন, মস্কোকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে নিষেধাজ্ঞার যে উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমারা তার চড়া মূল্য দিতে হবে বিশ্ব অর্থনীতিকে।
কিয়েভে রুশ হামলার পর ইউরোপীয় গ্রাহক থেকে শুরু করে খাদ্যের উচ্চ দামের মুখোমুখি বিশ্ব। আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন, পাম, গমসহ নিত্যপণ্যের দাম টনপ্রতি বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ ডলার । এরই মধ্যে নানা অনিশ্চয়তার শঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে এখন ১০৫ ডলারে অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে সামনে তেলের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে।
রুশ হামলার পরই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারগুলোতে সূচকের বড় রকমের পতন ঘটেছে। যুদ্ধ ঘোষণাকারী রাশিয়ার বাজারেই সূচকের পয়েন্ট ৪৫ শতাংশ কমে গেছে। তবে তাতে খুব একটা পাওা দিচ্ছে না মস্কো। বরং আন্তর্জাতিক বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক রাশিয়া পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি কমিয়ে দিলেই বিকল্প জোগানদাতা খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে ইউরোপের।
পশ্চিমাদের সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞার কবলে পুতিন সরকার। ইউক্রেনের রুশ আগ্রাসন এবং পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞা প্রভাব বিশ্ববাজারে পড়তে শুরু করেছে। সূচকের নিম্নমুখি ধারা ছিলো এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও। বিশ্লেষকরা বলছেন মস্কোর ওপর এই নিষেধাজ্ঞায় আরো বড় প্রভাব পড়বে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে।
Leave a Reply