আজ ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১২ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, টিএসসি ও মালিটোলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের গ্রুপের কয়েকজন কর্মী প্রথমবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি গ্রুপের ১৫ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে জবির টিএসসিতে মারধর করেন। পরে সভাপতি গ্রুপের সিনিয়র কয়েকজন এসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের দুইজনকে মারধর করেন। এ ঘটনার পর সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে মালিটোলায় অবস্থান নেন। পরবর্তীকালে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা মালিটোলায় সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের ধাওয়া করলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

এতে সভাপতি গ্রুপের নৃবিজ্ঞান বিভাগ ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী গাজী মো. শামসুল হুদা ও খাইরুল আমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল বারেক, ফিন্যান্স বিভাগ ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাঈদ আহত হন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী মেরাজ হোসাইন আহত হন। সবাইকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গাজী মো. সামসুল হুদা গুরুতর আহত হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের কর্মীদের লাঠি হাতে শোডাউন দিতে দেখা যায়।

আহত ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল বারেক বলেন, আমরা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে মালিটোলা পার্কের সামনে সভাপতির জন্য অপেক্ষা করার সময় ১২ ব্যাচের ছাত্রলীগকর্মী সিফাত, শিশির ও মারুফের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনো অবগত নেই। আমি দূরে অবস্থান করছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য ব্যক্তিস্বার্থে এসব কর্মকাণ্ড করছে। যারা মারামারি করেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমার অবগত হয়েছি। মারামারিতে জড়িত ছাত্রদের চিহ্নিত করে রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাদের বিরিুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংঘর্ষের বিষয়ে রাজধানীর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category