আজ ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি জোরদারে বিনিয়োগ বাড়াবে আইএফসি

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) কর্মসংস্থান সৃষ্টি, টেকসই অর্থনৈতিক পুনরূদ্ধার এবং পরিবেশ বান্ধব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে সংস্থার বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় আইএফসি’র আঞ্চলিক পরিচালক হেক্টর গোমেজ আং বাংলাদেশে ৫ দিনের সফর শেষে এ কথা বলেছেন। এ সময় তিনি উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, সম্ভাব্য নতুন ক্লায়েন্ট এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের সাথে বৈঠক করেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ, ভূটান এবং নেপালে কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত মার্টিন হোল্টম্যানসহ আইএফসি‘র শিল্প বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা গোমেজ আংয়ের সঙ্গে ছিলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

কোভিড-১৯ এর প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের পাশাপাশি এনার্জি ট্রান্সমিশন এবং সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের চাহিদা বিনিয়োগের লক্ষ্য হিসেবে গোমেজ চিহ্নিত করেন।

গোমেজ আং বলেন, “আইএফসি জ্বালানি বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিচ্ছে এবং বাংলাদেশে বেসরকারী খাতে ২০ শতাংশের বেশী বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়তা দিয়েছে। আমরা এনার্জি মিক্স এবং ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে আরো কিছু করতে চাইছি এবং স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, জলবায়ু এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল, পরিবেশ বান্ধব সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন খাতে নতুন সুযোগ অন্বেষণ করতে চাই।

গোমেজ আরো বলেন, একটি বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী উচ্চ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ নির্মান করবে এবং আমরা সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন খাত গড়ে তুলতে আগ্রহী যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিআইডিএ) সাথে বৈঠকের পর বক্তৃতায় গোমেজ আং বাংলাদেশকে তার উচ্চাকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য আরো বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

তিনি বলেন, “স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়া একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ, তাই টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের উত্তরণের জন্য সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ এবং বিদেশী বাণিজ্যিক ঋণের দিকে নজর দেয়া অপরিহার্য।”

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে তাদের আলোচনা খুবই আশাব্যঞ্জক এবং তারা ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার জন্য উন্মুখ।

গোমেজ আং বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধিতে, এটিকে উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেসরকারি খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category