নেইমারের ক্যারিয়ারে চড়াই উতরাই গিয়েছে অনেক। তবে এমন সময় যে কাটেনি কখনো। ফর্ম খারাপ যাচ্ছে, দর্শকের দুয়ো শুনছেন, সংবাদ মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সমালোচনা। এমন নেইমারকেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এবারের ম্যাচগুলোয় পাচ্ছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। জানালেন, তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে দলের।
চোটের কারণে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি নেইমার। অ্যাডাক্টরের চোট, গোড়ালির চোট পথ আগলে দাঁড়িয়েছে তার। তবে যে ক’টা ম্যাচে খেলেছেন, তাতেও নেইমারের পারফর্ম্যান্স আশাজাগানিয়া নয়। ২১ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ৫ গোল।
এমন পারফর্ম্যান্সে তাকে নিয়ে ফিসফাস হচ্ছিল। যার তোড় বেড়ে গেছে পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ব্যর্থতায়। তাকে আর মেসিকে রীতিমতো নিজেদের দর্শকরাই দুয়ো দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই ব্রাজিলে ফিরেছেন নেইমার।
আগামীকাল সকালে নিজেদের মাঠ রিও ডি জেনিরোয় সেলেসাওরা মুখোমুখি হবে চিলির বিপক্ষে। তার ঠিক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিতে জানালেন নেইমারকে নিয়ে তার ভাবনা। বললেন, ‘আমাদের সাধারণ কিছু দুর্ভাবনা আছে। কিন্তু এসব বিষয় খুবই গোপনীয়, এসব বিষয় তাই থাকবে আমাদের ড্রেসিংরুমের ভেতরই।’
ঠিক কী নিয়ে দুর্ভাবনা, তা প্রকাশ করেননি তিতে। কারণটাও ব্যাখ্যা করলেন ব্রাজিল কোচ। বললেন, ‘যদি আমার কোনো কোচ আমার খেলোয়াড়ি জীবনে আমার সমস্যাগুলো জনসম্মুখে এসে বলতেন, আমি প্রতিবাদ করে বসতাম। আমি খেলোয়াড় হিসেবে যেসব বিষয় পছন্দ করতাম, সেটাই কোচ হিসেবে করছি আমি।’
নেইমার তার ক্যারিয়ারে প্রতি ১.৭ ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছেন। চলতি মৌসুমে সে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.২-এ। ব্রাজিল কোচের আশা, সেটা নেইমারের ওপর প্রভাব ফেলবে না তার দলে। ব্রাজিল দলে নেইমার ১১৬ ম্যাচে করেছেন ৭০ গোল। সে কারণেই মূলত এমন আশা তিতের।
ব্রাজিল কোচের কথা, ‘ক্লাবে একজন খেলোয়াড়ের বাস্তবতা, আর জাতীয় দলের বাস্তবতা ভিন্ন। বেশ কিছু খেলোয়াড় তাদের ক্লাবে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে, তবে সবাই উঁচু আত্মমর্যাদাবোধ নিয়েই এখানে এসেছে। নেইমার চাপে খেলে অভ্যস্ত। আমরা নিজেরাই নিজেদের ওপর অনেক চাপ দিয়ে থাকি। তবে বাইরে থেকে যেন কোনো চাপ আমাদের ওপর না আসতে পারে, তার জোর চেষ্টাই আমরা করি।’
তবে তিতের কথামতো নেইমার পারফর্ম না করলেও অবশ্য ব্রাজিলের কোনো সমস্যা নেই। ইতোমধ্যেই পাঁচ বারের বিশ্বকাপ জয়ীরা নিশ্চিত করে ফেলেছে কাতার বিশ্বকাপে যাত্রা।
Leave a Reply