আজ ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এক চিমটি চাঁদের ধুলোর দাম ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা

ধুলোর দাম ৫ লাখ ৪ হাজার ৩৭৫ মার্কিন ডলার! বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিমাণটা ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকারও বেশি। সম্প্রতি একটি নিলামে কোটি কোটি টাকার বিনিময়েই বিক্রি হয়েছে ‘এক চিমটি’ ধুলো। 

জানা গেছে, এ নিলামটির আয়োজন করা হয়েছিল বুধবার। সেখানেই নাসার সংগ্রহে থাকা চাঁদের ধুলোর নমুনা বিক্রির জন্য ওঠে। এই ধুলো আনা হয়েছিল নীল আমস্ট্রংয়ের আমলে। অ্যাপোলো-১১ অভিযানের সদস্য নীল আর্মস্ট্রং প্রথমবারের জন্য পৃথিবীর প্রতিনিধি হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন। সেই সময়েই চাঁদের পৃষ্ঠদেশ থেকে এই ধুলোর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তা পৃথিবীতে নিয়ে আসেন অভিযাত্রীরা। এতদিন সেই ধুলোর নমুনা রাখা ছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কাছে।

তবে এ দামে খুশি নন উদ্যোক্তারা। তাদের আশা ছিল, আরও বেশি দামে বিক্রি হবে এই ধুলো। তারা সকলেই ভেবেছিলেন, নিলামে চাঁদের ধুলোর দাম উঠবে ৮ লাখ থেকে ১২ লাখ ডলার। কিন্তু বাস্তবে তার অনেকটা আগেই থেমে যান ক্রেতারা। অগত্যা ‘লোকসান’ মেনেই ধুলো বিক্রি করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ!

১৯৬৯ সালে চাঁদের পৃষ্ঠদেশের পৌঁছানোর পরই পৃথিবীতে সে কথা জানান নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অ্যালড্রিন। এরপর নির্দেশনা মোতাবেক, চাঁদের মাটিতে নেমে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেন নীল। সেই সময় নাকি মহাকাশচারীদের বলতে শোনা গিয়েছিল, চাঁদ থেকে তাঁরা মাটি হিসেবে যে নমুনা সংগ্রহ করছেন, তা আদতে পাথুরে। অনেকটা বালির মতো গড়ন। সেই মাটি এতটাই মিহি যে তা অনেকটা পাউডারের মতো। চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ করার পর তা একটি নির্দিষ্ট ব্যাগে ভরে সিল করে দেন নীল আর্মস্ট্রং।

বিশেষজ্ঞদের হাতে আসা তথ্য বলছে, চাঁদের পিঠে কোনো বাতাস নেই। কিন্তু সেখানে সৌরবায়ু নিয়মিত আছড়ে পড়ে। এর ফলে এক বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক শক্তিক্ষেত্র তৈরি হয়। যার প্রভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা পদার্থগুলো মিহি বালুকণার মতোই মসৃণ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়। এ একই কারণে এই মাটি, ধুলো বা বালি (যাই বলুন না কেন) আশপাশের সমস্ত কিছুর সঙ্গে আটকে যায়। যে মহাকাশচারীরা চাঁদের পিঠে অবতরণ করেছিলেন, তাঁদের পোশাকেও এই ধুলো লেগে গিয়েছিল!

সূত্র : এইসময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category