বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া গত কয়েক মৌসুমে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের অধিনায়ক। চলতি প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় লেগ থেকে জামালের পরিবর্তে অন্য কারো হাতে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব কতৃপক্ষ। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবে দীর্ঘদিন খেলা জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের কথা বলেছেন চলমান লিগ এবং ক্লাবের সঙ্গে জামাল ভূঁইয়ার সম্পর্ক নিয়ে।
প্রশ্ন : আপনার দল সাইফ স্পোর্টিং লিমিটেড অধিনায়কত্ব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?
জামাল ভূঁইয়া : আমি ডেনমার্ক ছিলাম কিছুদিন। দলের অনুশীলনে যোগ দিলাম মাত্র। ক্লাবের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমাকে কিছু জানায়নি এখনো। ম্যানেজমেন্ট দলের ভালোর লক্ষ্যে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করব।
প্রশ্ন : সাইফ স্পোর্টিং বড় বাজেটের দল এরপরও এবারের লিগে টেবিলে নিচের হাফে (১২ দলের মধ্যে ৭ নম্বরে) এর কারণ কী?
জামাল ভূঁইয়া : কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গেছে। নয়তো আরও কয়েক পয়েন্ট বেশি থাকতো। আমরা বেশ কয়েকটি ম্যাচে গোল হজম করেছি এবং সেটা বেশ দ্রুতই; যেটা আমাদের দুর্বলতা বলে মনে করি। আশা করি দ্বিতীয় লেগে এটি কাটিয়ে উঠব।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের বিগত অধিনায়করা ঘরোয়া লিগে চ্যাম্পিয়ন দলের হয়ে খেলেছে অথবা তাদের দল শীর্ষ দুটোর মধ্যে ছিল। আপনি জাতীয় দলের অধিনায়ক আপনার দল লিগে গত কয়েক বছর শিরোপা রেসেই থাকে না। বিষয়টি আপনার দৃষ্টিতে কেমন?
জামাল ভূঁইয়া : যে কোনো ফুটবলারই চায় প্রতি ম্যাচে দলকে জেতাতে ও লিগ বা টুর্নামেন্ট শেষে চ্যাম্পিয়ন হতে। আমিও এর বাইরে না। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব টুর্নামেন্টে রানারআপ ও এবারও ফাইনালে খেলার পর্যায়ে ছিল। লিগে আমরা একটু পিছিয়ে পড়েছি।
জাতীয় দলের অধিনায়করা লিগে চ্যাম্পিয়ন দলেই খেলে বিষয়টি বিশ্বে সব জায়গায় এমন নয়। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন টটেনহ্যামে খেলছেন। হ্যারি লিগের যে কোনো দলে খেলার সক্ষমতা রাখে কিন্তু এরপরও টটেনহ্যামেই খেলছেন। এ রকম আরো উদাহরণও আছে।
প্রশ্ন : আপনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় ফুটবলার। বসুন্ধরা কিংস, আবাহনীর মতো চ্যাম্পিয়ন দলে আপনি খেলেন না কেন?
জামাল ভূঁইয়া : অন্য দল থেকে প্রস্তাব যে পাই না বিষয়টি কিন্তু তেমন না। প্রতি বছরই আমার প্রস্তাব থাকে দেশের ও দেশের বাইরের অনেক ক্লাবের। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে আমার অসম্ভব ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তারা শুধু ভালো পারিশ্রমিক নয়, সম্মান-মর্যাদা সবই দেয় আমাকে। এজন্য তাদের সঙ্গেই টানা কয়েক বছর রয়েছি। সাইফ আমাকে যথেষ্ট সুযোগও দেয়, কলকাতা মোহামেডানে খেলা সম্ভব হয়েছে তারা ছাড় দেওয়াতেই।
প্রশ্ন : সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবে এখন নতুন ব্যবস্থাপনা। আগে যারা ছিলেন ক্লাব পরিচালনায় তারা নেই। এতে কি আপনার আগের সেই অবস্থান থাকবে ও সামনের মৌসুমেও কি সাইফ স্পোর্টিংয়ে খেলবেন?
জামাল ভূঁইয়া : আমার সঙ্গে সাইফ স্পোর্টিংয়ের চলতি মৌসুম পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। আমার মনোযোগ এখন দ্বিতীয় লেগে যত বেশি সম্ভব সাইফের হয়ে পয়েন্ট অর্জন করা। মৌসুম শেষে পরের গন্তব্য নিয়ে ভাবব।
Leave a Reply