রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আজও সাত কিলোমিটার জায়গাজুড়ে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে যানবাহন। তবে যানবাহনের চাপ গতকালের চেয়ে কিছুটা কম বলে ঘাট সূত্রে জানা গেছে।
রোববার (০৮ এপ্রিল) সকাল থেকে দৌলতদিয়ায় ৭ কিলোমিটার যানবাহনের সারি লক্ষ করা গেছে। যাত্রী, ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ কিছুটা কম থাকায় ৪-৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পাচ্ছে বাস। তবে পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন।
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত রয়েছে যানবাহনের সারি। এসব যানবাহনগুলোর মধ্যে নৈশকোচ ও পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে তিন শতাধিক যানবাহন আটকে দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সচল রাখতে প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।
সোহাগ পরিবহনের যাত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত ২টায় দৌলতদিয়া ঘাটে এসে আটকে যায়। তখন ঘাট থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে ছিলাম। সকালে সিরিয়ালের চাপ কিছুটা কমে আসলে এখন ঘাট থেকে ২ কিলোমিটার দূরে আছি। ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করলেই হয়তো ফেরির দেখা পাব।ঢাকাগামী রয়েল এক্সপ্রেসের যাত্রী সুমনা ইসলাম বলেন, শিশুসন্তান নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এখন ঢাকায় ফিরছি। রাতে ঘাটে এসে সিরিয়ালে আটকে যায়। প্রচণ্ড গরমে বাচ্চা নিয়ে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, গতকালের থেকে আজ যানবাহনের সিরিয়াল কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়াল আরও কমে যেতে পারে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে পুলিশ সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমানে এই রুটে ২১টি ফেরি চলাচল করছে।
Leave a Reply