আজ ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শীতে গোসলে বিরতি নয়

 

শীতকাল মানেই হিমেল হাওয়ার পরশ। আর তাইতো শীত আসলেই চলে গোসলের বিরতি। যা করা একেবারেই অনুচিত। সারাদিনে শরীরে বয়ে বেড়ানো ধুলাময়লা ও ঘাম গোসলের মাধ্যমেই পুরোপুরিভাবে দূর করা সম্ভব হয়। আরও বড় বিষয় হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার সাথে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্যে গোসল ভীষণ জরুরি।

পেশীকে শান্ত করে

গোসলের ফলে শরীরের বেশির চাপ অনেকটাই শিথিল হয়ে আসে। এতে করে পেশীর ফ্লেক্সিবিলিটি ও ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি পায়। প্রায়শ ঘুমের ভঙ্গীর ঠিক না থাকায় ঘুম ভাঙার পর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথাভাব দেখা দেয়। এর প্রধান কারণ পেশী শক্ত হয়ে থাকে। ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়ায় ব্যথা হয়। এক্ষেত্রে গোসল অনেকটা সাহায্য করে।

রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে

কুসুম গরম পানিতে গোসল করার ফলে রক্ত চলাচলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং এতে করে প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পেয়ে থাকে। এছাড়া রক্ত চলাচল নিয়মিত হওয়ার ফলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া সাবলীল হয়, যা বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে।

বৃদ্ধি পায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

গোসলের সবচেয়ে বড় ও প্রধান কারণ হলো শরীরকে পরিষ্কার রাখা। শুধু বাইরের ধুলাবালি থেকেই নয়, শরীরের যেকোন ফাংগাল ইনফেকশনের সম্ভাবনা কমাতেও গোসল অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এছাড়া ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের ফলে ভাস্কুলার ও লিম্ফ সিস্টেমের কার্যকারিতা উন্নত হয়, যা শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করে। রক্তের হোয়াইট সেল বা শ্বেত রক্তকণিকা ইনফেকশনসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।

 

মনকে ভালো রাখে

মন খারাপ থাকলে বা মেজাজ খারাপ হলে চটজলদি গোসল সেরে নিলে মন অনেকটা ভালো হয়ে যাবে। ঠাণ্ডা পানিতে গোসল নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত করে এবং রক্তে ভালো বোধ করার কেমিক্যাল তথা বেটা-এন্ড্রোফিন ও নোরাড্রেনালাইন এর নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এই কেমিক্যালগুলো মূলত ডিপ্রেশন প্রতিরোধে কাজ করে। ফলে দৈনিক গোসল শরীরের সাথে মনকেও সুস্থ রাখতে অবদান রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category